কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী, সি এন্ড এফ এজেন্ট, শ্রমিক দলনেতা, শ্রমিক ও দর্শনার্থীদের জন্য ডিজিটাল পরিচয়পত্র চালু করা হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে টেকনাফ স্থলবন্দরে (ইউএলপিটিএল)সম্মেলন কক্ষে ডিজিটাল পরিচয়পত্র চালুকরণ উদ্বোধনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব ও প্রধান অতিথি ছিলেন-স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেড টেকনাফের মহাব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) মেজর (অব:) সৈয়দ আনসার মোহাম্মদ কাউসার। সভা পরিচালনা করেন ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন-কাস্টমস প্রতিনিধি, সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর, আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী সিআইপি ওমর ফারুক, ব্যবসায়ী এম কায়সার জুয়েল, নূর মোহাম্মদ, শ্রমিক নেতা (মাঝি) আজগর আলী এবং বিভিন্ন আইনশৃংখলার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
আমদানি-রপ্তানি কারক ব্যবসায়ী সিআইপি ওমর ফারুক বলেন, স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠার পর থেকে ব্যবসায়ীরা ডিজিটাল পরিচয় পত্রের ব্যবস্থা করার জন্য কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দিয়ে আসছিলেন তারা। পরিচয় পত্র চালু করার পর থেকে বন্দরের নিয়মশৃঙ্খলা ফিরে আসবে। এতে করে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি স্থল বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
জানতে চাইলে স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেড টেকনাফের মহাব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) মেজর (অব:) সৈয়দ আনসার মোহাম্মদ কাউসার বলেন, আগে বহিরাগতদের বন্দরে গমনাগমন নিয়ে নিরাপত্তার কাজে নিয়জিত লোকজনদের হিমশিম পোহাতে হতো।ডিজিটাল পরিচয়পত্র চালুর পর থেকে ব্যবসায়ীদের জন্য বন্দরের কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। শ্রমিকেরা প্রতিদিন শ্রমিক প্রতিনিধি (মাঝি) মাধ্যমে পরিচয়পত্র গ্রহণ করে স্থলবন্দরে প্রবেশ করবে এবং বাহির হওয়ার সময় পরিচয়পত্র প্রতিনিধির হাতে জমা দিয়ে প্রধান ফটক দিয়ে বের হবে। এতে করে, বন্দরে চলাচলের শৃংখলা ফিরে আসবে এবং কেপিআই নিরাপত্তা নীতিমালা অনুযায়ী বন্দরে নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। তাছাড়াও বন্দরে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বন্দর অভ্যন্তরে নানান অনিয়ম ও বিশৃংখলা হতে বন্দর মুক্ত থাকবে।
পাঠকের মতামত: